স্টক ম্যানেজমেন্ট ঠিকভাবে না করলে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং এর সমাধান
স্টক ম্যানেজমেন্ট ঠিকভাবে না করলে আপনি কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং এর থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাবেন:
🔴 আর্থিক সমস্যা
- অতিরিক্ত স্টক জমে টাকা আটকে থাকাঃ
👉 উদাহরণ: আপনি ১ মাসে ১০০টা শার্ট বিক্রি করেন, কিন্তু হঠাৎ ৫০০টা শার্ট কিনলেন। বিক্রি না হওয়ায় টাকা আটকে গেল এবং নতুন ডিজাইনের শার্ট আনতে পারবেন না।
👉 সমাধান: স্টক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে আগের বিক্রির রিপোর্ট দেখে বুঝতে পারতেন মাসে গড়ে কত শার্ট বিক্রি হয়। সেই অনুযায়ী ১০০–১৫০ শার্টই কিনতেন।
- স্টক আউট য়ে সেলস হারানো(Stock Out)ঃ
👉 উদাহরণ: গ্রাহক ১০০ কেজি চাল কিনতে এলো, কিন্তু আপনার কাছে মাত্র ৫০ কেজি আছে। বাকি ৫০ কেজির বিক্রি হাতছাড়া হয়ে গেল।
👉 সমাধান: সিস্টেমে “Minimum Stock Level” সেট করা থাকলে চাল ১০০ কেজির নিচে নামার আগেই অ্যালার্ট দিত, ফলে আপনি সময়মতো অর্ডার করে আনতে পারতেন।
- অতিরিক্ত খরচ
👉 উদাহরণ: গুদামে বেশি পণ্য রাখার জন্য অতিরিক্ত স্টোর ভাড়া দিতে হচ্ছে, আবার অনেক চাল বা বিস্কুট মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে নষ্ট হলো।
👉 সমাধান: সফটওয়্যারে মেয়াদ ট্র্যাকিং থাকলে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই নোটিফিকেশন দিত, আর আপনি আগে থেকেই সেগুলো ছাড় দিয়ে বিক্রি করে দিতে পারতেন।
🔴 অপারেশনাল সমস্যা
- প্রোডাকশন থেমে যাওয়া
👉 উদাহরণ: বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে চিনি স্টক শেষ হয়ে গেছে। ফলে ময়দা ও অন্য সব উপকরণ থাকলেও উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেল।
👉 সমাধান: স্টক সিস্টেম কাঁচামালের লেভেল রিয়েল-টাইমে দেখাত। চিনি শেষ হওয়ার আগে নোটিফাই করত, ফলে প্রোডাকশন বন্ধ হতো না।
- ডেলিভারি দেরি হওয়া
👉 উদাহরণ: গ্রাহক অর্ডার দিল ২০০টা লাইট বাল্বের, কিন্তু স্টকে নেই। আপনাকে নতুন করে আনতে হলো, ফলে ডেলিভারি ৭ দিন দেরি হলো।
👉 সমাধান: স্টকে কত পণ্য আছে তা সিস্টেমে আপডেট থাকত। ফলে গ্রাহক অর্ডার করার সময়ই সঠিক তথ্য পেতেন এবং দেরি এড়ানো যেত। - কাজে বিশৃঙ্খলা
👉 উদাহরণ: গুদামে ৫০০ কেজি ডাল আছে, কিন্তু রেকর্ডে ৩০০ কেজি লেখা। ফলে কর্মচারীরা বিভ্রান্ত হলো এবং অর্ডার ঠিকমতো ম্যানেজ করতে পারলো না।
👉 সমাধান: গুদামের প্রতিটি ইন-আউট সিস্টেমে এন্ট্রি হতো। ফলে রেকর্ড আর বাস্তব স্টক এক থাকত এবং কর্মচারীরা সহজে ম্যানেজ করতে পারত।
🔴 গ্রাহক সম্পর্কিত সমস্যা
- গ্রাহক হারানো
👉 উদাহরণ: এক গ্রাহক নিয়মিত আপনার দোকান থেকে দুধ কিনতো। কিন্তু ৩ বার আসার পরও দুধ না পেয়ে সে পাশের দোকান থেকে কিনতে শুরু করলো।
👉 সমাধান: সঠিক স্টক রেকর্ড থাকলে বারবার গ্রাহককে “পণ্য নাই” বলতে হতো না। সময়মতো সব ডেলিভারি দিলে সে খুশি থেকে নিয়মিত কিনত। - নেগেটিভ ব্র্যান্ড ইমেজ
👉 উদাহরণ: অনলাইনে কেউ জুতা অর্ডার দিলো, কিন্তু আপনি ডেলিভারির সময় বললেন “স্টক শেষ”। রিভিউতে সে লিখল “এই দোকান ভুয়া”। ফলে অন্য ক্রেতারাও বিশ্বাস হারালো।
👉 সমাধান: অনলাইনে অর্ডার নেয়ার আগে সিস্টেমে স্টক অটোমেটিক চেক হতো। ফলে “স্টক নাই” কারণে অর্ডার বাতিল করার দরকার পড়ত না।
🔴 আইনি ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা
- মেয়াদোত্তীর্ণ বা নষ্ট পণ্য
👉 উদাহরণ: আপনার গুদামে মেয়াদোত্তীর্ণ বিস্কুট বিক্রি হয়ে গেল। ক্রেতা অসুস্থ হলো এবং অভিযোগ করলো → আইনি ঝামেলা তৈরি হলো।
👉 সমাধান: সিস্টেমে এক্সপায়ারি ডেট ট্র্যাক করলে আগে থেকেই জানা যেত কোন পণ্য শীঘ্রই নষ্ট হবে। আপনি সেগুলো আগে বিক্রি করতে পারতেন বা ফেলে দিতে পারতেন। - চুরি বা অপচয় ধরা পড়বে না
👉 উদাহরণ: আপনার গুদামে ১০০টা ফ্যান ছিল, ৫টা হারিয়ে গেল। সঠিক স্টক রেকর্ড না থাকায় আপনি বুঝতেই পারলেন না যে চুরি হয়েছে।
👉 সমাধান: প্রতিটি ইন-আউট রেকর্ড হওয়ায় যদি ১০০ ফ্যান ঢোকে আর ৯৫ বের হয়, তখনই ধরা পড়ত ৫টা অনুপস্থিত।
্ক

Leave a Reply
Want to join the discussion?Feel free to contribute!