স্টক ম্যানেজমেন্ট ঠিকভাবে না করলে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং এর সমাধান

স্টক ম্যানেজমেন্ট ঠিকভাবে না করলে আপনি কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং এর থেকে কিভাবে পরিত্রাণ পাবেন:

🔴 আর্থিক সমস্যা

  1. অতিরিক্ত স্টক জমে টাকা আটকে থাকাঃ
    👉 উদাহরণ: আপনি ১ মাসে ১০০টা শার্ট বিক্রি করেন, কিন্তু হঠাৎ ৫০০টা শার্ট কিনলেন। বিক্রি না হওয়ায় টাকা আটকে গেল এবং নতুন ডিজাইনের শার্ট আনতে পারবেন না।

👉 সমাধান: স্টক ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে আগের বিক্রির রিপোর্ট দেখে বুঝতে পারতেন মাসে গড়ে কত শার্ট বিক্রি হয়। সেই অনুযায়ী ১০০–১৫০ শার্টই কিনতেন।

  1. স্টক আউট য়ে সেলস হারানো(Stock Out)ঃ
    👉 উদাহরণ: গ্রাহক ১০০ কেজি চাল কিনতে এলো, কিন্তু আপনার কাছে মাত্র ৫০ কেজি আছে। বাকি ৫০ কেজির বিক্রি হাতছাড়া হয়ে গেল।

👉 সমাধান: সিস্টেমে “Minimum Stock Level” সেট করা থাকলে চাল ১০০ কেজির নিচে নামার আগেই অ্যালার্ট দিত, ফলে আপনি সময়মতো অর্ডার করে আনতে পারতেন।

  1. অতিরিক্ত খরচ
    👉 উদাহরণ: গুদামে বেশি পণ্য রাখার জন্য অতিরিক্ত স্টোর ভাড়া দিতে হচ্ছে, আবার অনেক চাল বা বিস্কুট মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে নষ্ট হলো।

👉 সমাধান: সফটওয়্যারে মেয়াদ ট্র্যাকিং থাকলে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার আগেই নোটিফিকেশন দিত, আর আপনি আগে থেকেই সেগুলো ছাড় দিয়ে বিক্রি করে দিতে পারতেন।

🔴 অপারেশনাল সমস্যা

  1. প্রোডাকশন থেমে যাওয়া
    👉 উদাহরণ: বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে চিনি স্টক শেষ হয়ে গেছে। ফলে ময়দা ও অন্য সব উপকরণ থাকলেও উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেল।
    👉 সমাধান: স্টক সিস্টেম কাঁচামালের লেভেল রিয়েল-টাইমে দেখাত। চিনি শেষ হওয়ার আগে নোটিফাই করত, ফলে প্রোডাকশন বন্ধ হতো না।
  1. ডেলিভারি দেরি হওয়া
    👉 উদাহরণ: গ্রাহক অর্ডার দিল ২০০টা লাইট বাল্বের, কিন্তু স্টকে নেই। আপনাকে নতুন করে আনতে হলো, ফলে ডেলিভারি ৭ দিন দেরি হলো।
    👉 সমাধান: স্টকে কত পণ্য আছে তা সিস্টেমে আপডেট থাকত। ফলে গ্রাহক অর্ডার করার সময়ই সঠিক তথ্য পেতেন এবং দেরি এড়ানো যেত।
  2. কাজে বিশৃঙ্খলা
    👉 উদাহরণ: গুদামে ৫০০ কেজি ডাল আছে, কিন্তু রেকর্ডে ৩০০ কেজি লেখা। ফলে কর্মচারীরা বিভ্রান্ত হলো এবং অর্ডার ঠিকমতো ম্যানেজ করতে পারলো না।
    👉 সমাধান: গুদামের প্রতিটি ইন-আউট সিস্টেমে এন্ট্রি হতো। ফলে রেকর্ড আর বাস্তব স্টক এক থাকত এবং কর্মচারীরা সহজে ম্যানেজ করতে পারত।

🔴 গ্রাহক সম্পর্কিত সমস্যা

  1. গ্রাহক হারানো
    👉 উদাহরণ: এক গ্রাহক নিয়মিত আপনার দোকান থেকে দুধ কিনতো। কিন্তু ৩ বার আসার পরও দুধ না পেয়ে সে পাশের দোকান থেকে কিনতে শুরু করলো।
    👉 সমাধান: সঠিক স্টক রেকর্ড থাকলে বারবার গ্রাহককে “পণ্য নাই” বলতে হতো না। সময়মতো সব ডেলিভারি দিলে সে খুশি থেকে নিয়মিত কিনত।
  2. নেগেটিভ ব্র্যান্ড ইমেজ
    👉 উদাহরণ: অনলাইনে কেউ জুতা অর্ডার দিলো, কিন্তু আপনি ডেলিভারির সময় বললেন “স্টক শেষ”। রিভিউতে সে লিখল “এই দোকান ভুয়া”। ফলে অন্য ক্রেতারাও বিশ্বাস হারালো।
    👉 সমাধান: অনলাইনে অর্ডার নেয়ার আগে সিস্টেমে স্টক অটোমেটিক চেক হতো। ফলে “স্টক নাই” কারণে অর্ডার বাতিল করার দরকার পড়ত না।

🔴 আইনি ও নিরাপত্তাজনিত সমস্যা

  1. মেয়াদোত্তীর্ণ বা নষ্ট পণ্য
    👉 উদাহরণ: আপনার গুদামে মেয়াদোত্তীর্ণ বিস্কুট বিক্রি হয়ে গেল। ক্রেতা অসুস্থ হলো এবং অভিযোগ করলো → আইনি ঝামেলা তৈরি হলো।
    👉 সমাধান: সিস্টেমে এক্সপায়ারি ডেট ট্র্যাক করলে আগে থেকেই জানা যেত কোন পণ্য শীঘ্রই নষ্ট হবে। আপনি সেগুলো আগে বিক্রি করতে পারতেন বা ফেলে দিতে পারতেন।
  2. চুরি বা অপচয় ধরা পড়বে না
    👉 উদাহরণ: আপনার গুদামে ১০০টা ফ্যান ছিল, ৫টা হারিয়ে গেল। সঠিক স্টক রেকর্ড না থাকায় আপনি বুঝতেই পারলেন না যে চুরি হয়েছে।
    👉 সমাধান: প্রতিটি ইন-আউট রেকর্ড হওয়ায় যদি ১০০ ফ্যান ঢোকে আর ৯৫ বের হয়, তখনই ধরা পড়ত ৫টা অনুপস্থিত।
    ্ক
0 replies

Leave a Reply

Want to join the discussion?
Feel free to contribute!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *